রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ মূহূর্তের গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ইউরোর সেমিতে স্পেন

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ মূহূর্তের গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ইউরোর সেমিতে স্পেন। ২-১ গোলে আয়োজক দেশকে হারিয়ে ইউরো কাপ থেকে ছিটকে দিল স্পেন। ফের একটা খারাপ প্রতিযোগিতায় গেল ২০১৪ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে গোল করেন স্পেনের মেরিনো, তাঁর হেডারেই ম্যাচ জিতে নেয় লা রোজা বাহিনী। এরপর লালকার্ড দেখেন স্পেনের ডিফেন্ডার ডানি কার্ভাহাল। স্পেনকে আলভারো মোরাতে প্রথমে এগিয়ে দিলেও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি তাঁরা। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ লগ্নে সেই গোল পরিশোধ করে দিয়েছিলেন জার্মানির রিটজ। তবে শেষরক্ষা হল না।

আরও পড়ুন-মায়ের মন! অসুস্থ শরীর উপেক্ষা করেই ছেলের বিজয়যাত্রা দেখতে হাজির রোহিত জননী..

স্পেন দল হাইলাইন ডিফেন্সে খেললেও জার্মানি তাঁদের দুর্গে ৮ মিনিট পর্যন্ত ভাঙল ধরাতে পারেনি, এক্ষেত্রে অবশ্য ভাগ্য সহায় ছিল স্পেনের। নিশ্চিত গোলের বলও বারে লেগে প্রতিহত হয়ে যায়। ম্যাচের ১ মিনিটেই জার্মানদের গোলমুখে আক্রমণ করে স্পেন, পেদ্রির শট গোলে না জড়ালেও তখনই বোঝা গেছিল জার্মানদের ডেরায় খোলসের মধ্যে থাকবে না তাঁরা। কিন্তু ৮ মিনিটেই ঘটে বিপত্তি, চোটের জন্য মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেদ্রি। ২১ মিনিটে কাই হাভার্টজের হেডার ধরে নেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন। ৩৫ মিনিটে হাভার্টজের শট বাঁচিয়ে দেন সিমন। ৪ মিনিটর পর সুযোগ পায় স্পেন, এক্ষেত্রে ওলমোর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার। গোলশূন্য স্কোরলাইন রেখেই লেমন ব্রেকে যায় দুই দল।

আরও পড়ুন-রুপো, ব্রোঞ্জ পেয়েছি অলিম্পিক্সে! এবার পদকের রং বদলাব, প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিলেন সিন্ধু!

বিরতির পরই জোড়া পরিবর্তন করেন জার্মান কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান। লেরয় সানে এবং এমরে ক্যানের পরিবর্তে ফ্লোরিয়ান রিটজ এবং রবার্ট আন্দ্রিচকে মাঠে নামান তিনি। ৫১ মিনিটে লামিন ইয়ামাল, দানি ওলমোর যুগলবন্দীতে গোলের দেখা পেয়ে যায় স্পেন। লামালের পাশ থেকে গোল করে যান দানি ওলমো। ৬৩ মিনিটে ইয়ামালের পরিবর্তে ফেরান তোরেসকে নামিয়ে স্ট্রাইকিং লাইন আপ আরও শক্তিশালী করেন লুইজ দে লা ফন্তে। ৬৯ মিনিটে ফুলক্রুগের পাস থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নেন আন্দ্রিচ, কিন্তু ততধিক দক্ষতায় তাঁ বাচিয়ে দেন উনাই সিমন। ৭৭ মিনিটে নাচোকে ছাপিয়ে গিয়ে ডাইভ দিয়ে গোলের চেষ্টা করেন ফুলক্রুগ, কিন্তু বল বারে লেগে প্রতিহত হয়। টানা স্পেন রক্ষণে আক্রমণ করতে থাকে জার্মানরা। ৮৯ মিনিটেই আসে তাঁদের কাঙ্খিত গোল, জার্মানির হয়ে সমতা ফেরান ফ্লোরিয়ান রিটজ। বায়ার্ন লেভারকুসেনে ক্লাব ফুটবল খেলা এই স্ট্রাইকার স্পেনের রক্ষণভাগের ফুটবলারদের সামনে থেকেই শট করে চলে যান, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন লাপোর্তে-কারভাহালরা। কেউ মার্ক করেননি রিটজকে।

আরও পড়ুন-লোকে হ্যাটা করত...এখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছে মনে, মোদীর সামনে কী বললেন হার্দিক?

2024-07-05T18:59:45Z dg43tfdfdgfd