Mumbai Indians vs Punjab Kings: ২০২৫ আইপিএল (IPL 2025) টুর্নামেন্টে দুই ফাইনালিস্ট ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩ জুন অহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পঞ্জাব কিংস একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। রবিবার রাতে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) দল। ১১ বছর পর আইপিএল ফাইনালে আবারও উঠেছে পঞ্জাব কিংস।
এই ম্য়াচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাবের সামনে ২০৪ রানের টার্গেট রেখেছিল। তবে শ্রেয়স অ্যান্ড কোম্পানি ১৯ ওভারেই সেই টার্গেট হাসিল করে নেয়। আইপিএল প্লে-অফে এই প্রথম কোনও দল এত রানের টার্গেট তাড়া করে জয়লাভ করল। ইতিপূর্বে, আইপিএল প্লে-অফে সবথেকে সফল রান তাড়া করার রেকর্ড ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঝুলিতে। ২০১৪ সালে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেই তারা এই 'কারনামা' অর্জন করেছিল। এবার পঞ্জাব কিংসের দখলে এই রেকর্ড চলে এসেছে।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্য়াচ শুরুর আগে অনেকেই বলেছিলেন যে অহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে যে দল প্রথমে ব্যাট করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাই জয়লাভ করে। মুম্বই টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। জয়ের জন্য ২০০+ স্কোরও নেহাতই কম ছিল না। কিন্তু, জেতা ম্য়াচ কেন হাতছাড়া হয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের? আসুন, সেই কারণটা নিয়েই এবার আলোচনা করা যাক।
Hardik Pandya Crying: মুম্বই হারতেই কেঁদে ফেললেন হার্দিক, নিমেষে ভাইরাল হল সেই ভিডিও! দেখে নিন
এমন একটা হাইভোল্টেজ ম্য়াচে ২০৪ রানের টার্গেট তাড়া করা, খুব একটা সহজ কাজ নয়। তবে শ্রেয়স আইয়ার যে দাপুটে পারফরম্য়ান্স করলেন, সেখানে কোনও টার্গেটই কার্যত যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছিল না। মাত্র ৪১ বলে তিনি অপরাজিত ৮৭ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন। হাঁকালেন ৫ চার এবং ৮ ছক্কা। গোটা ইনিংসটাকে তিনি কার্যত পথ দেখালেন। শেষকালে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্য়াচটা পকেটে পুরে নিলেন। মুম্বই ২০০+ রান স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলার পর পঞ্জাব কিংসের এমন একজন ব্যাটার দরকার ছিল যিনি গোটা ইনিংসটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সেই ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হলেন শ্রেয়স। একবারে হিসেব কষে দলকে চাপমুক্ত করলেন তিনি।
তবে সঙ্গে যদি নেহাল বঢেরা না থাকতেন, তাহলে হয়ত পঞ্জাব কিংসের এই স্বপ্নটা সার্থক হত না। ১১ বছর পর আইপিএল ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। তিনি ২৯ বলে ৪৮ রান করেন। সবথেকে বড় কথা চতুর্থ উইকেটে তিনি শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে ৮৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। অনেকে বলছেন, এই পার্টনারশিপই ম্য়াচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে এর পিছনে আসল দায়ী হলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফিল্ডাররা। দু'বার হাতছাড়া হয় নেহালের ক্য়াচ। নবম ওভারে যখন মিচেল স্যান্টনার বল করতে এসেছিলেন, তখন ডিপ মিড-উইকেটে দাঁড়িয়ে নমন ধীর একটি ক্যাচ বুঝতে না পেরে হাতছাড়া করেন। পরের ওভারে বল করতে এসেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। তখনও ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে ট্রেন্ট বোল্ট (Trent Boult) একটি ক্যাচ হাতছাড়া করেছিলেন। এই জোড়া ক্যাচ মিস হওয়াই যে মুম্বইয়ের হারের অন্যতম বড় কারণ, তা বলা যেতেই পারে।
2025-06-02T09:03:18Z