কলকাতা: বছর একুশের মেয়েটা কয়েকটা দিন আগেও ভাবেনি সে খেলবে বিশ্বকাপে! ভারতীয় ওপেনার প্রতীকা রাওয়াল চোট না পেলে এ বারের মতো ওডিআই বিশ্বকাপে খেলা হত না শেফালি ভার্মার (Shafali Verma)। তাই প্রতীকা চোট পেতে আচমকাই শিকে ছিঁড়েছিল শেফালির। সেমিফাইনালে ১০ রান করে মাঠ ছেড়েছিলেন। দল জিতে ফাইনালে ওঠায় তিনি বেশি সমালোচিত হননি। আর ফাইনালের মঞ্চে জ্বলে উঠলেন। শুরু থেকেই যেন আগুন ঝরানোই লক্ষ্য, স্থির করে নিয়েছিলেন। সেই মতোই খেললেন। ভারতের স্কোরবোর্ডে তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৮৭ রান। ১৩ রানের জন্য ফাইনালের মঞ্চে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন।
ভারতের ইনিংসের প্রথম ওভারে একটাও রান নেননি স্মৃতি মান্ধানা। আর সেখানে শেফালি ওভার শুরুই করেন বাউন্ডারি দিয়ে। আয়বঙ্গা খাকার প্রথম বল যখন তিনি বাউন্ডারিতে পাঠালেন তাঁকে দেখেই মনে হচ্ছিল, চাপমুক্ত হয়ে খেলছেন। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন এক্কেবারে ভয়ডরহীন খেলে গেলেন শেফালি। ভারতের বিধ্বংসী ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগের ভক্ত শেফালি। তাঁর ব্যাটিংয়ে বীরুর মতো আগ্রাসন নজরে পড়ে। সেই শেফালি ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে উপহার দিলেন একটা ‘বীর’ ইনিংস।
৭৮ বলে ৮৭ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়লেন ভারতের ওপেনার শেফালি। ৭টি ৪ ও ২টি ছয় দিয়ে ইনিংস সাজিয়েছিলেন। ভারতের হয়ে তিনিই ফাইনালে সর্বাধিক রানস্কোরার। দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং খুব বেশি জুতসই ছিল না। শেফালিও যে কারণে জীবনদান পেয়েছিলেন। হাফসেঞ্চুরির পর তাঁর উইকেট যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল। চলছিল তখন ২১তম ওভার। প্রথম বলেই শেফালির ক্যাচ মিস করেন বস। তখন তিনি ৫৭ রানে। এরপর ২৪.২ ওভারে শেফালির পেশিতে টান ধরে। তবে তিনি মাঠ ছাড়েননি। ফিজিয়ো এসে স্ট্রেচিং করান। এরপর তিনি বড় শট মারার চেষ্টা করছিলেন। আর তাতেই খাকার বলে লুসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। যদি আর কিছুক্ষণ থাকতে পারতেন ক্রিজে, তা হলে সেঞ্চুরি চলে আসত শেফালির ব্যাটে।
2025-11-02T15:27:40Z