RANJI TROPHY: উইকেটহীন শামি, হনুমার সেঞ্চুরি আর অষ্টম উইকেট জুটিতে অস্বস্তিতে বাংলা, তিন পয়েন্ট আসবে?

আগরতলা: পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে তাঁকে সই করিয়েছে ত্রিপুরা। বিজয় শঙ্কর, স্বপ্নিল সিংহদের মতোই। সেই হনুমা বিহারি চাপের মুখে ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেন বাংলার বিরুদ্ধে। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) যে ম্যাচে একটা সময় মনে হচ্ছিল, বাংলার সরাসরি জয়ের দরজা খুললেও খুলতে পারে, সেই ম্যাচে এখন অভিষেক পোড়েলদের তিন পয়েন্টও নিশ্চিত নয়। ম্যাচের ফয়সালা হওয়া কার্যত অসম্ভব। ত্রিপুরা বাংলার চেয়ে আর ৬৩ রানে পিছিয়ে। হাতে এখনও ৩ উইকেট। মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিন। কী হবে ম্যাচে, দেখার অপেক্ষায় বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা।

বৃষ্টি, ভেজা মাঠ ও মন্দ আলোর জন্য প্রত্যেক দিনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম খেলা হচ্ছে। তিনদিনে মোট খেলা হয়েছে ১৯৩.৫ ওভার। যেখানে হওয়ার কথা ২৭০ ওভার। সোমবারই সর্বোচ্চ ৭৮.৫ ওভার খেলা হয়। রবিবার, দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৩৩৬/৯। সেই স্কোরেই সোমবার অল আউট হয় তারা। ৮৭ বলে ৪০ রান করে ফেরেন শাহবাজ আমেদ। মুরা সিংহ ও রানা দত্তের তিনটি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ত্রিপুরা। ইনিংসের নবম ওভারেই বিক্রম কুমার দাসকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ কাইফ। যিনি এই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। পরের ওভারেই ঋতুরাজ ঘোষ রায়কে ফেরান ঈশান পোড়েল। একই ওভারে শ্রীদাম পাল ও দেবনাথকে তুলে নেন কাইফ। স্বপ্নিল সিংহকে ফেরান শাহবাজ আমেদ। ৫৩/৫ হয়ে যায় ত্রিপুরা। বাংলা শিবির আচমকাই যেন ম্যাচে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে। হিসেব কষা শুরু হয়, কত রানের মধ্যে ত্রিপুরা অল আউট হলে ফলো অন করানো যাবে।

তবে সেখান থেকে প্রত্যাঘাত হনুমা বিহারির। রঞ্জি ট্রফিতে ভাঙা হাত নিয়ে ব্যাট করার কীর্তি রয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশের ক্রিকেটার এবার খেলছেন ত্রিপুরায়। সপ্তম উইকেটে বিজয় শঙ্করের সঙ্গে ১০৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে হনুমা দলকে ফলো অনের আওতা থেকে বার করে আনেন। ৯৩/৬ থেকে স্কোরকে ২০০ রানে পৌঁছে দেন দুজনে।

এরপর বিজয় শঙ্কর আউট হলেও ক্রিজে রয়েছেন হনুমা। ১২১ রান করে। সঙ্গে মুরা সিংহ ৪২ রান করে ক্রিজে। অবিচ্ছেদ্য অষ্টম উইকেটে ৭৩ রান যোগ করে ফেলেছেন দুজনে। ভাই কাইফ ৪ উইকেট পেলেও মহম্মদ শামি উইকেটহীন রইলেন।

2025-11-03T17:12:40Z