আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা আইপিএল। একটা সময় ভারতীয় ক্রিকেটে দাপট ছিল। দেশের জার্সিতে জোড়া বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্বও রয়েছে। আপাতত ব্যস্ত ক্রিকেট ধারাভাষ্যে। এ বার আর কোনও ক্রিকেটেই দেখা যাবে না। পেশাদার ক্রিকেটকে পুরোপুরি বিদায় জানালেন দেশের অভিজ্ঞ লেগস্পিনার পীষুষ চাওলা। দেশের জার্সিতে তিনটি টেস্ট, ২৫টি ওয়ান ডে এবং সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। দেশের জার্সিতে শেষ বার সুযোগ পেয়েছিলেন ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ না মিললেও আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপিয়ে খেলছিলেন এই লেগ স্পিনার। গত মরসুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও খেলেছেন। সেটাই ছিল পেশাদার ক্রিকেটে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০২৪ সালেও খেলার সুযোগ মিলেছিল। আইপিএলের ১৮তম সংস্করণের মেগা অকশনেও নাম নথিভূক্ত করেছিলেন। কিন্তু কোনও দল আগ্রহ দেখায়নি। তবে ধারাভাষ্য দেন পীযুষ।
আইপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেটের তালিকায় শীর্ষ সারিতেই রয়েছেন পীযুষ। পঞ্জাব কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে শেষ আইপিএল খেলেছেন। ১৯২ ম্যাচে নিয়েছেন ১৯২টি উইকেট। আইপিএলে তাঁর সেরা মরসুম বলা যায় ২০১৪ সালকে। কলকাতা নাইট রাইডার্স দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফাইনালে তাঁর ব্যাটেই এসেছিল উইনিং রান।
ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর উত্থান ১৬ বছরেই। ২০০৫ সালে চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে সচিন তেন্ডুলকরকে বোল্ড করেছিলেন পীযুষ চাওলা। পরের বছরই টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। রোহিত শর্মাদের সঙ্গে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও খেলেছেন। তাঁর কেরিয়রের সেরা প্রাপ্তি অবশ্যই জোড়া বিশ্বকাপ। ২০০৭ সালে ধোনির নেতৃত্বে তরুণ দল খেলেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। উদ্বোধনী বিশ্বকাপে সেই চ্যাম্পিয়ন টিমের সদস্য পীযুষ। এ ছাড়াও ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ী ভারতের স্কোয়াডেও ছিলেন পীযুষ।
2025-06-06T12:09:06Z